শিশির ভাল ছেলে না হলেও খুব খারাপ না।সে পাবনা জিলা স্কুলে পরত।যেহেতু এই স্কুলটি একটি বয়েস স্কুল তাই শিশিরের কখনই কোন মেয়ের সাথে কথা বলা হয়নি। সে মেয়েদের দেখে খুব ভয় পায়।এস.এস.সি পরীক্ষার সময় তার একটা মেয়েকে পছন্দ হয় কিন্তু সে মেয়েটাকে কিছুই বলতে পারে না।
তার বন্ধুকে ঐ মেয়েটাকে দেখিয়ে সে বলে যে দেখতো দোস্ত মেয়েটাকে কেমন লাগে তখন শিশিরের বন্ধু শিশিরকে বলল আমি এই মেয়েটাকে ভালবাসি। তখন শিশির তার বন্ধুকে বলল তা হলে তুই মেয়েটাকে তোর পছন্দের কথাটা জানা আর তুই বলতে না পারলে আমি তোর মনের কথাটা ওকে বলে দেই। শিশির নিজে যে ঐই মেয়েটাকে পছন্দ করত সেটা তার বন্ধুকে বুঝতে দিল না। মেয়েটাকে শিশির ভালবেসেছিল কিনা সে আজও জানে না।
শিশির নতুন কলেজে ভর্তি হয়েছে। আজ কলেজের ৩য় দিন।হঠাত আজ ক্লাসে নতুন একটা মেয়েকে দেখল।মেয়েটাকে first দেখায় পছন্দ হয়ে গেল শিশিরের।কোন কিছু বোঝার আগেই মেয়েটাকে ভালবেসে ফেলে শিশির। কলেজের সবাই শিশিরের বদ্ধু। সে কদিনের মদ্ধে মেয়েটার সম্পর্কে সব জানার খোঁজ করল।মেয়েটার নাম জয়া।
শিশির রোজ কলেজে যেত অন্তত জয়া কে একবার দেখার জন্ন। কলেজে জয়া ঢোকামাএ শিশিরের কানে খবর চলে আসত আবার জয়া কলেজ থেকে বের হলেও শিশিরের কানে খবর আসত।শিশির কলেজের যেখানেই থাকুক না কেন জয়া কে একবার দেখার জন্ন সে ছুটে আসত।এভাবে দেখতে দেখতে চলে গেল ২ মাস।এর মদ্ধে শিশির দেখল যে তার স্কুলেই পড়ত একটা ছেলে জয়ার সাথে লাইন মারার চেষ্টা করছে।
সেই ছেলেটা জয়ার সাথে কথা বলছে এই ঘটনা দেখে শিশিরের মাথা ঠিক ছিলনা শিশির ছেলেটিকে ডেকে আড়ালে নিয়ে গিয়ে মারল যাতে জয়া কিছু না দেখে। যত দিন যেতে লাগল শিশির ততই জয়াকে বেশি ভালবাসতে লাগল। কিন্তু শিশিরের কখনও সাহস হয় না জয়ার সামনে গিয়ে তার ভালবাসার কথাটা জয়াকে জানানোর।
এর মদ্ধে শিশির শুনতে পেল জয়ার একটি ছেলের সাথে রিলেশন আছে।ছেলেটি ঢাকাতে পড়ালেখা করে এর আগে সে শিশিরের সাথে জিলা স্কুলেই পড়ত।শিশির সকাল শিফটে আর সোহাগ বিকেলে তবে তারা দুজনেই একটি স্যারের কাছে রসায়ন পড়ত। ছেলেটা খুব ভাল ছাএ।
সোহাগ সম্পকে শিশিরের কাছে সব তথ্য এসে গেল। শিশির মনে মনে খুব কষ্ট পেতে লাগল। সারাদিন শুধু জয়ার কথা ভাবে আর রাতে বসে কাঁদে।শিশির কখনও জয়াকে ডিসটার্ব করে না। শিশির কদিন পরে শুনতে পারে যে সোহাগ আর জয়া কোথায় কোথায় বেরাতে গিয়েছিল। বর্তমানে যকে ডেটিং বলে। যাহোক শিশির এত কিছু শোনার পরেও জয়াকেই ভালবাসে। সে শুধু আল্লাহর কাছে কাদে আর বলে যে আল্লহ যেন জয়াকে ভাল রাখেন।
এসব করে শিশিরের এইচ.এস.সি.তে রেজাল্ট খারাপ হয়েছে।অনেক দিন শিশির জয়াকে দেখতে পায়না পরে সে জানতে পারল যে জয়া আর পাবনাতে নেই। জয়ারা এখন সবাই রাজশাহীতে। হয়ত জয়াকে শিশির আর কোনদিন দেখতে পাবে না। শিশিরের ভালবাসার কথাটাও আর বলা হল না।
শিশির মাঝে মাঝে জয়ার বয় ফেন্ডস এর সাথে কথা বলে। জয়া রাজশাহীতে চলে গেছে আর সোহাগের কি ভাগ্য সোহাগ রুয়েটে চান্স পেয়েছে। বলতে হয়ত খারাপ শোনা যাবে শিশির কদিন আগে শুনল যে জয়া আর সোহাগ এক সাথে রাত কাটিয়েছে। তাতে কি শিশির এখনও জয়াকেই ভালবাসে জয়ার জন্ন সে যে কোন কাজ করতে পারে। শিশির জয়াকে ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করে কিন্তু পারে না হয়ত কোনদিন ভুলতে পারবেও না।
শিশির আর কেউ না আমি। আমি চাই ওরা দুজন সুখে থাক। আজ আমার খুব ভাল লাগছে জয়াকে না হয় আমার ভালবাসার কথাটা বলতে পারিনি তোমাদেরকে তো বলতে পেরেছি। কোন ভুল হয়ে থাকলে বন্ধু ভেবে ক্ষমা করবেন।
Leave a Reply